তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের প্রচার এবার ঘুড়িতে : পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উড়িয়ে প্রচার

14th January 2021 2:56 pm হুগলী
তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের প্রচার এবার ঘুড়িতে : পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উড়িয়ে প্রচার


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :   মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে তৃণমূল সরকারের  ঘুড়ির মাধ্যমে প্রচার  শ্রীরামপুরে। পৌষ সংক্রান্তিতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ি উড়ে। তাই ঘুড়ির মধ্যমে বাংলার গর্ব ও দুয়ারের সরকারে প্রচার করল শ্রীরামপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর । তৃনমূলের দাবি তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্যই মানুষের কাছে এই মাধ্যম ব্যবহার করেছে তৃণমূল। সকালে পথ চলতি সাধারন মানুষের হাতে ঘুড়ি তুলে দেওয়া হয়। পাপ্পু সিং বিদায়ী তৃনমূল  কাউন্সিলার বলেন আজকে পূর্ণ তিথি, বাংলার গর্ভ মমতা ব্যানাজীকে তিন ববারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আর্শীবার্দ করা। পশ্চিমবঙ্গে যে পাপ আসার চেষ্টা করছে সেই পাপ মুক্ত হোগ।  দুয়ারে সরকার চলছে আমাদের। পাশাপাশি আজকের দিনে ঘুড়ির মাধ্যমে সরকারের সমস্ত প্রকল্পের কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। বাংলার জন্য মমতা ব্যানার্জী কি কি উন্নয়ন করেছে সবাই জানে। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাষ্কর ভট্টাচার্য বলেন দুয়ারে সরকার নিয়ে এসেছে বাধ্য হয়ে। আকাশে উড়ে যখন ঘুড়ি কাটবে তখন তৃনমূল কংগ্রেস কেটে যাবে। আগামী দিনে হাওয়াতে ভেসে তৃনমূল বেরিয়ে যাবে সেটা বোঝা যাচ্ছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।